• সর্বশেষ প্রকাশনা

    Thursday, January 26, 2017

    কিভাবে একটি Website এর Crawl Rate ও জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করতে হয়?

    একটি ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশ করার ক্ষেত্রে সাইট Crawl Rate অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ ওয়েবসাইটের Crawl Rate এর উপর ডিপেন্ড করবে একটি ওয়েবসাইট কত দ্রুত Index হয়ে সার্চ Algorithm অনুযায়ি সার্চ রেজাল্টের পাতায় আসবে। যদি আপনার ব্লগ/ওয়েবসাইট যথাযথভাবে Crawl না হয়, তাহলে দেখবেন আপনার ওয়েবসাইটের অনেক পোষ্ট সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজে আসবে না। এ ক্ষেত্রে কিছু সঠিক নিয়ম অনুসরণ করলে সার্চ ইঞ্জিন একটি ওয়েবসাইটকে অল্প সময়ে সার্চ ইঞ্জিনের পাতায় নিয়ে আসবে।

    একটি ওয়েবসাইটের Crawl Rate বৃদ্ধি এবং পোষ্ট দ্রুত Index করানোর জন্য অনেক ধরনের কৌশল রয়েছে। সার্চ ইঞ্জিন সাধারণত Crawler ও Bots এর মাধ্যমে যে কোন ওয়েবসাইট Index এবং Ranking নির্ধারণ করে থাকে। আপনার ব্লগ/ওয়েবসাইটের পোষ্টগুলি কেবল তখনই সার্চ রেজাল্টের পাতায় আসবে যখন পোষ্টগুলি সঠিকভাবে Index হবে। অন্যথায় আপনার ব্লগটি বা ব্লগের পোষ্টগুলি দেখার জন্য কাঙ্খিত লিংক টাইপ করে ভিজিট করতে হবে, যা কোনভাবেই সম্ভব নয়। অন্যদিকে আপনার ওয়েবসাইটের Crawl Rate যদি ভাল হয়, তাহলে পোষ্ট Index হয়ে কোন ঠিকানা না জেনেই সহজে সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর পেয়ে যাবেন। নিচে আমি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক তুলে ধরলাম, যেগুলি আপনার ওয়েবসাইটের Crawl Rate বৃদ্ধি করবে।

    • নিয়মিত পোষ্ট পাবলিশঃ আপনি যদি প্রতিদিন একটি বা দুটি করে ভালমানের পোষ্ট শেয়ার করতে পারেন, তাহলে ব্লগে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি সার্চ ইঞ্জিনের Crawler প্রতিনিয়ত আপনার ব্লগে ভিজিট করতে থাকবে। ফলে Crawl Rate বৃদ্ধি হওয়ার সাথে সাথে পোষ্ট দ্রুত Index হতে থাকবে।

    • ইউনিক কনটেন্টঃ যে কোন সার্চ ইঞ্জিন চায় ভালমানের ফ্রেশ ইউনিক কনটেন্ট। বিশেষকরে গুগল বট ইউনিক কনটেন্টকে অধিক হারে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আপনি যদি প্রতিটি পোষ্ট ইউনিক কনটেন্টের সমন্বয়ে তৈরি করতে পারেন, তাহলে গুগল Crawler প্রতি ০৫ মিনিট অন্তর অন্তর আপনার ব্লগ Crawl করতে থাকবে।

    • সাইটম্যাপ সাবমিটঃ এটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সার্চ ইঞ্জিনে ব্লগের Sitemap Submit করে রাখলে সার্চ ইঞ্জিনগুলি যে কোন ব্লগ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা নিতে পারবে। যার ফলে ব্লগের নতুন কনটেন্ট গুলিকে সার্চ ইঞ্জিনে দ্রুত Index করতে সাহায্য করবে।

    • পেজ র‌্যাংক বৃদ্ধিঃ পেজ র‌্যাংকের মূল্য সকল সার্চ ইঞ্জিনের কাছে রয়েছে। আমরা যেমন ভালমানের কোন ওয়েবসাইটকে আলাদা দৃষ্টিতে দেখি, ঠিক তেমনি সার্চ ইঞ্জিন ক্রলারও ভাল পেজ র‌্যাংকের ওয়েবসাইট গুলিকে একটু ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করে থাকে। এ ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটের পেজ র‌্যাংক বৃদ্ধি করতে পারলে খুবই সহজে আপনার ওয়েবসাইটের Crawl Rate বৃদ্ধি পেতে থাকবে।

    • কপিরাইট কনটেন্টঃ আপনি যদি আর্টিকেল পাবলিশার হয়ে থাকেন, তবে এটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কোন অবস্থাতেই অন্যের ব্লগ/ওয়েবসাইট হতে আর্টিকেল কপি করে নিজের ব্লগে পাবলিশ করা যাবে না। তাহলে সার্চ ইঞ্জিনের Crawler এর কাছে আপনার ব্লগের Value কমে যাবে।

    • ব্লগের Load Time বৃদ্ধিঃ ওয়েবসাইট যত ছোট সাইজের (Megabyte) ছবি এবং ভিডিও ব্যবহার করা যায় ততই ভাল হয়। কারণ আপনার ওয়েবসাইটের সাইজ যদি বড় হয়, সে ক্ষেত্রে সার্চ ইঞ্জিন Crawler আপনার ওয়েবসাইটটি Crawl করার সময় অনেক বেশী সময় নেবে। এ ক্ষেত্রে আপনার সাইটে বেশী সময় না নিয়ে সে Ignore করে চলে যাবে। এটি আপনার ব্লগের ভিজিটরের উপরও প্রভাব ফেলবে।

    • অপ্রয়োজনীয় পেজ ব্লক করে রাখাঃ প্রত্যেকটি ওয়েবসাইটের কিছু নিজস্ব ব্যক্তিগত পেজ থাকে, যেগুলি কাউকে দেখানো বা সার্চ ইঞ্জিনে Index করার প্রয়োজন হয় না। গুগল ব্লগারে Search Page বা Label Page গুলিকে সার্চ রেজাল্টে Index করার কোন প্রয়োজনই নেই। এই ধরনের পেজগুলিকে Robots.txt ফাইল ব্যবহার করে বন্ধ করে রাখাটাই শ্রেয়।

    • গুগল Crawl Rate মনিটরঃ Google Webmaster Tools এর মাধ্যমে আপনার সাইটের Crawl Rate মনিটর করতে পারেন। তাহলে আপনার ব্লগের Crawl Rate কি অবস্থায় আছে সেটি বুঝে গুগলের পরামর্শ অনুযায়ি কাজ করে Crawl Rate বাড়ীয়ে নিতে পারবেন।

    • ইউনিক টাইটেল ও ম্যাটা ট্যাগঃ যেহেতু সার্চ Crawler একটি পোষ্টের টাইটেল ও ম্যাটা ট্যাগকে সর্বপ্রথম খুঁজে থাকে, সেহেতু প্রতিটি পোষ্ট অবশ্যই ভালমানের কীওয়ার্ডের সমন্বয়ে তৈরি করার পাশাপাশি ম্যাটা ট্যাগ লিখতেও কোন ভূল করবেন না।

    • Image Optimization: বর্তমান সময়ে প্রায় সকল সার্চ ইঞ্জিন ওয়েবসাইটের সাথে সাথে ঐ সাইটটির Image গুলিকেও প্রচুর পরিমানে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে সঠিকভাবে Image Optimization একটি Website এর Crawl Rate বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

    • Schema.Org Markup ব্যবহারঃ এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ অভ্যন্তরীন SEO অপশন। এর কোন বিষয় যদিও বাহির থেকে দেখা যায় না, কিন্তু সার্চ ইঞ্জিন Crawler কে এই Schema.Org Markup Language যে কোন ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেবে।

    • Mobile Friendly Blog ডিজাইনঃ গুগল সম্প্রতি Mobile Friendly ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য তাগিদ দিচ্ছে। কারণ মানুষ এখন কম্পিউটারের অনেক কাজই মোবাইলের মাধ্যমে সেরে নেয়। তাছাড়া গুগল গত এপ্রিল/২০১৬ মাসে ঘোষনাও দিয়েছে যাদের ব্লগ Mobile Friendly নয়, তাদের ব্লগ/ওয়েবসাইট SEO এর ক্ষেত্রে অনেক বিরূপ প্রভাব পড়বে।

    • ভিডিও শেয়ার করাঃ এ বিষয়টি সম্প্রতি অনেক ওয়েবমাষ্টাররা পরামর্শ দিচ্ছেন। অনেকেই বলছেন আর্টিকেলের পাশাপাশি পোষ্টের ভীতরে একটি ভিডিও শেয়ার করা যায়, তাহলে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে নাকি পোষ্টের গুরুত্ব আরো বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কাজেই আমার মনেহয় পোষ্টের মধ্যে ভিডিও শেয়ার করাটা উত্তম হবে।

    কিভাবে একটি ব্লগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করবেন?

    প্রত্যেক ব্লগের এ্যাডমিন তার নিজের প্রিয় ব্লগটিকে সবার কাছে একটি জনপ্রিয় ব্লগ হিসেবে উপস্থাপন করতে চান। সবাই আশা করেন তার ব্লগটি সকলের কাছে জনপ্রিয় ব্লগ হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। তবে একজন ওয়েব ডেভেলপারের/ব্লগারের পক্ষে এই কাজটি করা খুব কঠিন একটা বিষয়। একজন ব্লগার সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এবং আরো অন্যান্য কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে যদিও একটি ব্লগে পর্যাপ্ত ট্রাফিক পেতে সক্ষম হন কিন্তু খুব কম সংখ্যক লোক ব্লগের জনপ্রিয়তা তৈরিতে সফল হতে পারেন। কারন ব্লগে ট্রাফিক/ভিজিটর পেলেই একটি ব্লগ জনপ্রিয় হয়ে উঠে না। একটি ব্লগকে সবার কাছে জনপ্রিয় এবং গ্রহনযোগ্য করে তুলার জন্য ব্লগ এ্যাডমিন ও ব্লগের বিভিন্ন বিষয়ে কিছু অসাধারন গুনাবলীর প্রয়োজন হয়।

    আপনি হয়ত ভাবতে পারেন কারো ব্লগে পর্যাপ্ত ট্রাফিক থাকলেই ব্লগটি সবচাইতে জনপ্রিয় ব্লগ হয়ে উঠবে। আসলে Traffic এবং জনপ্রিয়তা শব্দ দুটির মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। সাধারনত আপনি লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে, অন-লাইনে অনেক ব্লগ রয়েছে যারা ইউটিব থেকে কিছু জনপ্রিয় ভিডিও বাছাই করে ভিডিওটির একটি আকর্ষণীয় এবং কৌতুহলী টাইটেল প্রদানের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের Social Media-তে লিংক শেয়ার করার মাধ্যমে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর পেয়ে যান। এ ধরনের ব্লগের পর্যাপ্ত ট্রাফিক থাকার কারনে র‌্যাংকিংও ভাল অবস্থানে থাকে। তবে খুব কম সংখ্যক ভিজিটর পরবর্তীতে পুনরায় এই টাইপের ব্লগে ভিজিট করেন। ঠিক একইভাবে আরও অন্যান্য টপিকের ব্লগ রয়েছে যারা বিভিন্ন কৌশল খাঠিয়ে ব্লগে পর্যাপ্ত ট্রাফিক পেয়ে যান, তবে ভিজিটরদের ব্লগে ধরে রাখতে বা ব্লগের জনপ্রিয়তা তৈরি করতে সক্ষম হন না।

    একটি ব্লগে ট্রাফিক থাকার পাশাপাশি যখন ভিজিটরদের কাছে ব্লগের জনপ্রিয়তা এবং গ্রহনযোগ্যতা বৃদ্ধি পবে, তখনই আপনার ব্লগিং করার উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ হয়েছে বলে ধরে নিতে পারেন। আপনাকে সব সময় একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, শুধুমাত্র ট্রাফিক বৃদ্ধি করার মাধ্যমে অন-লাইন হতে আয় করাটাই ব্লগিংয়ের মূখ্য উদ্দেশ্য নয়। আপনার ব্লগের কনটেন্টের মাধ্যমে কিছু নিত্য নতুন বিষয় শেয়ার করে সবাইকে শেখানোটা হবে আপনার মূল উদ্দেশ্য। পক্ষান্তরে যখন আপনার ব্লগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাবে, তখন ব্লগের ট্রাফিক এবং ব্লগ থেকে আয় করার বিষয়টা নিয়ে কোন চিন্তা করতে হবে না। কারণ যে কোন জিনিসের সুনাম বা জনপ্রিয়তা ঐ বিষয়ের মাধ্যমে একজন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌছে দেবে। আমার ব্লগিং ক্যারিয়ারের দীর্ঘ অভীজ্ঞতা থেকে একটি ব্লগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে সহায়ক কয়েকটি বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

    Attractive ব্লগ ডিজাইনঃ

    সুন্দর্যের প্রতি সব মানুষের আকর্ষণ রয়েছে। মানুষ জন্মগতভাবে সুন্দরের পূজারী। ঠিক একইভাবে একটি আকর্ষণীয় ডিজাইনের ব্লগ যে কোন লোককে ব্লগের প্রতি আকর্ষণ করাতে পারে। একটি আকর্ষণীয় ইউনিক ডিজাইনের ব্লগ একটি ব্লগের ব্যক্তিত্বের প্রকাশ করে। কিন্তু বেশীরভাগ ব্লগারদের ক্ষেত্রে দেখা যায় অন-লাইনে বহুল ব্যবহৃত ফ্রি টেমপ্লেটগুলি ডাউনলোড করে ব্যবহার করছেন। বিষয়টি আপনি ভালভাবে চিন্তা করলে বুঝতে পারবেন যে, অন-লাইনে ১০০ জনের ব্যবহৃত ব্লগার টেমপ্লেটটি দিয়ে কিভাবে পাঠকদের ব্লগের ডিজাইনের প্রতি আকৃষ্ট করতে সমর্থ হবেন? এ ক্ষেত্রে ১০০ জনের ব্যবহৃত টেমপ্লেট দিয়ে ব্লগের Interface এর প্রতি কোনভাবেই পাঠকদের আকর্ষণ করাতে পারবেন না। বরংচ অধিক ব্যবহৃত একই ডিজাইনের ব্লগের কারনে পাঠকের কাছে আপনার ব্লগের গ্রহযোগ্যতা কমে যাবে।

    আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে দক্ষতা সম্পন্ন হন, তাহলে ব্লগিং শুরু করার পূর্বে ব্লগের ডিফল্ট টেমপ্লেটগুলির যে কোন একটিকে Customize করে সবার থেকে একটু ভিন্নরূপে তৈরি করতে পারেন। তবে আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন করা না জানেন, তাহলে কোন ভালমানের ডেভেলপারের কাছ থেকে অর্ডার করে কিছু টাকার বিনিময়ে শুধুমাত্র আপনার জন্য একটি টেমপ্লেট ডিজাইন করিয়ে নিতে পারেন। তাহলে সবার থেকে আলাদা এ ধরনের ইউনিক ডিজাইনের ব্লগের প্রতি পাঠকরা অধিক আকৃষ্ট হবে। টেমপ্লেট ডিজাইনের ক্ষেত্রে Responsive ব্যাপারটি অবশ্যই মাথায় রাখবেন। কারন পাঠকরা শুধুমাত্র আপনার ব্লগটি কম্পিউটার থেকে ভিজিট করবে না। সম্প্রতি মোবাইল, স্মার্ট ফোন এবং ট্যাবলেটের ব্যবহার এতই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, পাঠকরা তাদের প্রয়োজন এখন কম্পিউটার ব্যবহার না করে এ ধরনের স্মার্ট ডিভাইসের মাধ্যমে সেরে নিচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে আপনার ব্লগটিকে Responsive ডিজাইন করলে অধিক পাঠক এবং জনপ্রিয়তা দুটিই পেতে পারেন। তাছাড়া সম্প্রতি গুগলও মোবাইল ফ্রেন্ডলি ব্লগগুলিকে র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে।

    ভালমানের সাজানো কনটেন্টঃ

    সর্বক্ষেত্রেই কনটেন্ট হচ্ছে একটি ব্লগের প্রাণ। আপনি যে বিষয় নিয়েই ব্লগিং করেন না কেন, ব্লগে অবশ্যই সবার থেকে আলাদা এবং ভালমানের কনটেন্ট থাকতে হবে। ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে আমি সবসময় সবাইকে এই বিষয়টির প্রতি অধিক গুরুত্ব দিতে বলি। কোন একটি পোষ্ট লিখার সময় আপনি ঐ লিখাটি সাবার কাছে সুন্দর, সহজ এবং বোধগম্য করে উপস্থাপন করতে পারলে, তখন আপনার লিখাটির প্রতি সবাই আকৃষ্ট হবে। এ ক্ষেত্রে আপনি যে কোন বিষয়ে যুক্তি ও উদাহরনের মাধ্যমে পাঠককে পরিষ্কার ধারনা দিতে পারেন। কারণ পাঠকরা আপানারমত সব বিষয়ে অভীজ্ঞতা সম্পন্ন হবে না। সে ক্ষেত্রে সহজভাবে কোন বিষয় উপস্থাপন করতে পারলে আপনি একজন ভালমানের লেখক হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, লিখার মধ্যে অবশ্যই ভালমানের পরিপাঠি করা সুন্দর ও স্মার্ট শব্দ থাকলে বিষয়টি আরো ভাল হয়।
    ধরুন-আপনার সামনে দু’জন লোক শার্ট, প্যান্ট এবং পায়ে সু পরে ইন করা অবস্থায় দাড়িয়ে আছে। তাদের একজনের শার্ট, প্যান্ট সুন্দরভাবে ইস্ত্রি করা, পায়ের সু ঠিকমত কালি করার পাশাপাশি লোকটির চুল ও দাড়ী কাঠা অবস্থায় সুন্দরভাবে পরিপাঠি করা রয়েছে। পক্ষান্তরে অন্য লোকটির শার্ট, প্যান্ট, সু, চুল ও দাড়ি কোন কিছু সুন্দরভাবে গুছানো নেই। এ ক্ষেত্রে প্রথম লোকটি যেমনি স্মার্ট, সুন্দর এবং একজন ব্যক্তিত্বের অধিকারী লাগবে, উল্টো দিকে দ্বিতীয় লোকটির সবকিছু থাকার পরও জিনিসগুলি পরিপাঠি করা না থাকার কারনে অসুন্দর দেখাবে। ঠিক একইভাবে আপনার ব্লগের কনটেন্টগুলি যদি সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে পরিপাঠি করে লিখতে পারেন, তাহলে আপনার লেখার কোয়ালিটির পাশাপাশি ব্যক্তিত্বের একটি ছুয়া পাওয়া যাবে। এ বিষয়টি একজন পাঠককে আপনার ব্লগের কনটেন্টের প্রতি অধিক আকৃষ্ট করতে সক্ষম হবে।

    অন্যান্য ব্লগে Gust ব্লগার হওয়াঃ

    এটি গুগল ব্লগারের বড় একটা অপশন। এই অপশনের মাধ্যমে সহজে যে কোন ব্যক্তিকে ব্লগের Author হিসেবে যুক্ত করার মাধ্যমে লিখার সুযোগ প্রদান করা যায়। অন-লাইনে অনেক ব্লগ রয়েছে যারা নিয়মিতভাবে বিভিন্ন বিষয়ে Gust ব্লগার নিয়ে থাকে। আপনি যে বিষয়টি নিয়ে ব্লগিং করছেন সেই বিষয়ে ভালমানের ব্লগ গুলিতে একজন Gust ব্লগার হিসেবে যোগ দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আপনি যদি ভালমানের লেখক হন, তাহলে খুব সহজে ঐ ব্লগের মাধ্যমে আপনার ব্লগটিকে পরিচয় করিয়ে ব্লগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করতে পারেন। আপনি যখন Gust ব্লগার হিসেবে ঐ ব্লগটিতে নিয়মিত লিখবেন, তখন তারা আপনার ব্লগের পোষ্টগুলি লিংক করার সুযোগ দেবে। এ ক্ষেত্রে আপনি নিঃসন্দেহে একটি ভালমানের ব্লগ থেকে Dofollow Backlinks তৈরির মাধ্যমে ঐ ব্লগ থেকে আপনার ব্লগটিতে ট্রাফিক বৃদ্ধি করে নিতে পারেন।

    কমেন্টের সঠিক প্রতি উত্তর দেয়াঃ

    এ বিষয়টি আপনার ব্লগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। পাঠক যখন আপনার পোষ্ট পড়বে তখন পোষ্টের কিছু বিষয় হয়ত ঠিকমত বুঝবে না। এ ক্ষেত্রে তারা চাইবে কমেন্টের মাধ্যমে আপনার নিকট থেকে বিষয়টি পরিষ্কারভাবে জেনে নিতে। আপনি যদি কমেন্টের প্রতি-উত্তর প্রদানের মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে কমেন্টকারীকে সহজ ও বোধগম্য করে সন্তুষজনক জবাব দিতে পারেন, তাহলে ঐ পাঠক নিঃসন্দেহে আপনার ব্লগটিকে তার প্রিয় ব্লগের তালিকা রেখে Bookmark করে নেবে। এ ছাড়াও কিছু লোক যারা আপনার ব্লগের Contact Form এর মাধ্যমে কিংবা ই-মেইলের মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে সমাধান চাইবে। আপনি বিষয়টি হেলায় ফেলে না দিয়ে, আপনার ব্লগের বিষয়ের সাথে মিল রয়েছে এমন বিষয়গুলি সম্পর্কে যোগাযোগকারীকে সমাধান সম্পর্কে জানাতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ঐ লোকটি আপনার এবং আপনার ব্লগের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে ব্লগটিকে প্রিয় তালিকার মধ্যে রেখে দিতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে পাঠকরা কিছুতেই তাদের সীমা অতিক্রম করা উচিত হবে। পাঠকদের উদ্দেশ্যে এ বিষয় আমি দুটি কথা বলে নিচ্ছি।

    অনেক ভিজিটর রয়েছেন যারা বিভিন্ন বিষয়ে Facebook, WhatsApp এবং মোবাইলে ফোন করে ব্লগের Author এর কাছে বিভিন্ন বিষয়ে সাহায্য চান। আসলে এ বিষয়টি মোটেও সমিচীন নয়। কারণ ব্লগের Author এরও একটা Personality এবং ব্যস্ততা রয়েছে। এমন নয় সে সবসময় ব্লগ নিয়ে বসে থাকে। এ ক্ষেত্রে আপনার যদি কোন বিষয়ে সমাধান একান্ত প্রয়োজন হয়, তাহলে কমেন্ট, ই-মেইল এবং ফেইসবুক কমিউনিটিতে যোগাযোগ করে আপনার বিষয় সম্পর্কে সাহায্য চাইতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ঐ ব্লগের Author এর পাশাপাশি হয়ত অন্য লোকের কাছ থেকেও আপনার কাঙ্খিত বিষয়ে সহজে অল্প সময়ে সমাধান পেয়ে যাবেন।

    ব্লগের Communities তৈরি করাঃ

    এই বিষয়টি আপনার ব্লগকে সবার কাছে অধিক গুরুত্বপূর্ণ করে তুলবে। আপনি যে বিষয় নিয়ে ব্লগিং করছেন, সেই বিষয়ের ভালমানের অন্যান্য ব্লগগুলির সাথে আপনার ব্লগটির Communities তৈরি করে নিতে পারেন। আপনি অন-লাইনে খোঁজলে খুব সহজে এ ধরনের অনেক ব্লগ পেয়ে যাবেন। তাছাড়া কিছু ভালমানের ব্লগ রয়েছে যেগুলি আপনি সাব্সক্রাইব করে নিয়ে তাদের সাথে নিয়মতভাবে একটি Communication তৈরি করে নিতে পারেন। আপনার ব্লগেও Subscribe অপশনটা ব্যবহার করে অন্যদের-কে আপনার ব্লগটি Subscribe করার সুযোগ করে দিতে পারেন।

    কিছু ফ্রি অপশন প্রদান করাঃ

    আপনি একটা জিনিস মনে রাখবেন, পাঠকরা সবসময় ফ্রি জিনিস সহজে পেতে পছন্দ করে। তারা সব সময় চাইবে কারো ব্লগ থেকে ফ্রিতে ভালমানের কিছু ডাউনলোড করে নিতে। ধরুন আপনার ব্লগে Blogger Template, WordPress Theme এবং আপনার নিজের লিখা বিভিন্ন ই-বুক টাকার বিনিময়ে শেয়ার করেন। এ ক্ষেত্রে আপনি যদি সবগুলি টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেন, তাহলে পাঠকরা আপনার ব্লগটি ভিজিট করা থেকে বিরত থাকবে। কারণ তাদের মনে একটা ধারনা হয়ে যাবে, এই ব্লগে টাকা ছাড়া কিছুই নেয়া যায় না। সেই জন্য আপনার উচিত হবে মাঝে মধ্যে কম গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলি বিনা মূল্যে সবাইকে ডাউনলোড করার সুযোগ তৈরি করে দেয়া। এ বিষয়টি আপনার ব্লগকে পাঠকের কাছে জনপ্রিয় এবং গরুত্বপূর্ণ করে তুলবে।

    Social Media Promote করাঃ

    বর্তমান সময়ে ওয়েব ডেভেলপাররা ব্লগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি এবং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রেও সোসিয়াল মিডিয়াকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। কারন বিভিন্ন সোসিয়াল মিডিয়া ব্যবহারকারীর সংখ্যা এত বেশী যে, এটি কোন ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের পন্যের প্রচার-প্রসার এবং জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে অনেক ভূমিকা পালন করে। বিশেষকরে Facebook এবং Twitter এ আপনার ব্লগের জন্য একটি করে Fan Page তৈরি করে Fan বৃদ্ধি করে নিয়মিতভাবে ব্লগের বিভিন্ন পোষ্ট শেয়ার করার মাধ্যমে ব্লগের জনপ্রিয়তা এবং ট্রাফিক দুটিই বৃদ্ধি করতে পারবেন। তাছাড়াও Facebook এ একটি Group তৈরি করে সেখানে মেম্বার বৃদ্ধির মাধ্যমেও আলোচনা-সমালোচনা করে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান প্রদানের মাধ্যমে ব্লগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করতে পারেন।

    সর্বশেষঃ উপরের সবগুলি বিষয় আপনার ব্লগের ট্রাফিক বৃদ্ধি, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এবং জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে অবদান রাখবে। আপনি যদি ব্লগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করে ব্লগের গ্রহনযোগ্যতা বাড়াতে পারেন, তাহলে আপনার ব্লগটি এক সময় সবার কাছে ব্রান্ড হয়ে যাবে। তখন ব্লগের ট্রাফিক এবং ব্লগ থেকে আয় করা কোনটি নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতে হবে না। কারণ যখন আপনার ব্লগটি সবার কাছে পরিচিত হয়ে যাবে, তখন পাঠক ব্লগটিতে সরাসরি ব্লগের লিংক ব্যবহার করে নিয়মিতভাবে ভিজিট করতে থাকবে। এ জন্য সবাইকে ব্লগের SEO করার পাশাপাশি জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির কৌশলগুলি যথাযথভাবে অনুসরণ করা প্রয়োজন।
    সর্বশেষঃ উপরের বিষয়গুলি সঠিকভাবে অনুসরণ করলে যে কোন ধরনের ওয়েবসাইটের Crawl Rate বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে। যখন আপনার ব্লগের Crawl Rate বৃদ্ধি করতে পারবেন, তখন আপনি বুঝতে পারবেন সার্চ ইঞ্জিন বট আপনার ব্লগটিকে প্রতিনিয়ত Crawl করছে। আর যখন একটি সাইটের Crawl Rate বৃদ্ধি পেতে থাকবে, তখন সার্চ ইঞ্জিন হতে ঐ ওয়েবসাইটটিতে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর বৃদ্ধি হওয়ার পাশাপাশি র‌্যাংকিং বাড়তে থাকবে।

    No comments:

    Post a Comment

    Fashion

    Beauty

    Travel