• সর্বশেষ প্রকাশনা

    Thursday, January 26, 2017

    Google AdSense কি? Apply করার আগে ও দ্রুত অনুমোদন টিপস এবং অনুমোদন না হওয়ার প্রধান কারন


    Google AdSense কি এ বিষয় নিয়ে নতুন করে লিখার কিছু নেই, তবে কিভাবে কাজ করে এ বিষয়টি সবার কাছে পরিষ্কার নয়। এ পোষ্টটি লিখার আগে আমি বেশ কয়েকবার চিন্তা করেছিলাম যে, পোষ্টটি লিখব কি না? কারণ Google AdSense কি এ বিষয় সবাই জানে। তারপরও আমি প্রাথমিক পর্যায় থেকে শুরু করলাম, কারণ Google AdSense নিয়ে কয়েকটি Series পোষ্ট লিখব। Google AdSense কি, কিভাবে কাজ করে, কিভাবে অনুমোদন করতে হয়, কিভাবে বেশী আয় করা যায় ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ধারাবাহিকভাবে পোষ্ট করব। আশাকরি আমাদের সাথে যারা থাকবেন তারা Google AdSense বিষয়ে সকল নাড়ী-ভূড়ী নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

    Google AdSense কি এবং কিভাবে কাজ করে?
    অন-লাইন হতে টাকা আয় করার যত প্রন্থা আছে তার মধ্যে Google AdSense নিঃসন্দেহে সাবার শীর্ষে অবস্থান করছে। সব ধরনের ব্লগারই তাদের ব্লগে Google AdSense বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে চায়। কারণ AdSense এর আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপনের সাইজ এবং ডিজাইনের কারণে এটিকে সবাই পছন্দ করে। তাছাড়া Google AdSense হতে অর্জিত টাকা গুগল খুব বিশ্বস্ততার সাথে পরিশোধ করে। এ সব কারনে Google AdSense সবার শীর্ষে অবস্থান করছে।
    • Google AdSense কিঃ সবাই নিশ্চয় জাননে যে, Google AdSense হচ্ছে ইন্টারনেট ভিত্তিক একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থা যেটি গুগল নিজে পরিচালনা করছে। গুগল বিভিন্ন কোম্পানির কাছে অর্থের বিনিময়ে তাদের আওতাধীন যত ওয়েবসাইট আছে যেসগুলিতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে আয় করে। গুগল AdSense বিজ্ঞাপন থেকে যত টাকা আয় করে তার ৬৮ ভাগ টাকাই দিয়ে থাকে পাবলিশারদের এবং বাকী ৩২ ভাগ টাকা নিজেরা ভোগ করে। গুগল AdSense সাধারণত বিভিন্ন ধরনের Text এবং Image আকারে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে থাকে। এ সব বিজ্ঞাপনে Per-Click এবং Per-Impression হিসেব করে পাবলিশারদের টাকা প্রদান করে থাকে। গুগল যত টাকা উপার্জন করে তার প্রায় ২৭ ভাগ আসে Google AdSense থেকে।

    • কিভাবে Google AdSense কাজ করেঃ Google AdSense এর একটি বিশালাকারে শাখা এবং ডেভেলপার টিম রয়েছে, যারা প্রতিনিয়ত এটিকে দিনে পর দিন ভাল অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। গুগল সাধারণত প্রথমে একটি সাইটের যাবতীয় তথ্য এবং Cookies সংগ্রহ করে। তারপর বিশেষ পোগ্রামিং এবং JavaScript এর মাধ্যমে কনটেন্ট এর উপর ডিপেন্ড করে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে থাকে। এ সব বিজ্ঞাপন পাবলিশারদের দুটি উপায়ে আয় করার সুযোগ দেয়। কিছু ওয়েবসাইটের জন্য কেবল যারা ঐ সাইটটি অপেন করে বিজ্ঞাপন দেখে এবং কিছু ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার মাধ্যমে রেট ভিত্তিক টাকা প্রদান করে থাকে। তবে প্রত্যেকটি ব্লগ/ওয়েবসাইটের র‌্যাংকিং এর উপর ভিত্তি করে আলাদা আলাদা বিজ্ঞাপন দেখার এবং ক্লিক রেটও রয়েছে। তাছাড়া বিজ্ঞাপনের সাইজ ও ধরণ অনুযায়ীও বিজ্ঞাপনের ক্লিক রেট ভিন্ন হয়ে থাকে।

    • AdSense বিজ্ঞাপন ভিন্ন হয় কেনঃ আমি আগেই বলেছি গুগল AdSense এর বিজ্ঞাপন বিশেষ কিছু পোগ্রামিং এর মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়, যাতেকরে এটি যে কোন সাইটকেই দেখতে আকর্ষীয় করে তুলে। তাছাড়া এটি কোন ওয়েবসাইটের লোড টাইমের উপরও কোন প্রভাব ফেলবে না। যখন কোন ভিজিটর ব্লগের কোন একটি পোষ্ট ভিজিট করে, তখন সাথে সাথে গুগল AdSense ‍Scripts সমস্ত পোষ্টের কনটেন্ট স্ক্যান করে নেয় এবং কনটেন্টের সাথে মিল রেখে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। অধীকন্তু কোন্ দেশ হতে সাইট ভিজিট করা হচ্ছে সেটিও জেনে নিয়ে ঐ দেশ এবং এলাকা ভিত্তিকও বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। যার দরুন দেখা যায় বাংলাদেশ থেকে ভিজিট করার পর গুগল AdSense বাংলাদেশের সকল প্রকার বিজ্ঞাপন শো করছে। আপনি যখন কোন সাইট ভারত থেকে ভিজিটর করবেন তখন গুগল AdSense ভারতের বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখাবে।

    Google AdSense এ Apply করার আগে যে ১০ টি কাজ আবশ্যক

    আমরা জানি যে, Google AdSense অনলাইন ভিত্তিক সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপনি সংস্থা। তাদের বিজ্ঞাপনের উচ্চ মূল্যের Click Rate এবং আরও বিশেষ সুবিধা জন্য সব ধরনের ব্লগার এবং ওয়েবমাষ্টাররা তাদের ব্লগে Google AdSense ব্যবহার করে অনলাইন হতে আয় করতে চায়। তবে অধিকাংশ ব্লগাররা তাদের অজ্ঞতার কারনে Google AdSense অনুমোদন করতে ব্যর্থ হয়। অথচ সামান্য কিছু টিপস অনুসরণ এবং ধৈর্য ধারণ করে চেষ্টা করলে খুব সহজেই অল্প দিনে Google AdSense অনুমোদন করা যায়। নিচে আপনাদের সাথে শেয়ার করব Google AdSense এ Apply করার আগে যে কাজগুলি অবশ্যই করতে হবে।
    1. কাষ্টম ডোমেইনঃ Google AdSense অনুমোদন পাওয়ার জন্য Domain অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অধিকাংশ নতুন ব্লগার তাদের ব্লগে Sub-Domain (Blogspot.com অথবা Wordpress.com) ব্যবহার করে Google AdSense এর জন্য আবেদন করেন। যার ফলে দেখা গুগল তাদের আবেদন সরাসরি নাকুচ করে দেয়। তবে এক সময় ছিল যখন Sub-Domain দিয়েও খুব সহজে AdSense অনুমোদন করা যেত, কিন্তু সম্প্রতি এ বিষয়টি খুব বেশী কঠিন হয়েগেছে। কাজেই বিষয়টি সহজ করার জন্য প্রথমে একটি ভালমানের Custom Domain কিনে নিতে হবে। তাছাড়াও Custom Domain ব্যবহার করলে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনেও বিশেষ কিছু সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

    2. Domain Age: Google AdSense অনুমোদন পাওয়ার জন্য ডোমেইনের বয়সও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। AdSense এর জন্য আবেদন করার আগে আপনার ডোমেইনের বয়স কমপক্ষে ২/৩ মাস হতে হবে। তবে ডোমেইনের বয়স ৬ মাস হওয়ার পর AdSense এর আবেদন করাটা সবচেয়ে ভাল। তাছাড়া এশিয়ার বেশ কিছু দেশ রয়েছে যেগুলিতে ৬ মাস না হওয়া পর্যন্ত ব্লগার দিয়ে AdSense জন্য আবেদন করার সুযোগই পাওয়া যায় না।

    3. ব্লগ Design এবং Loading Speed: আপনার ব্লগার টেমপ্লেটটি বা ওয়েবসাইটটি অবশ্যই User Friendly এবং দেখতে আকর্ষণীয় হতে হবে। পাঠকরা যাতে সহজে যে কোন ধরনের বা সাইজের ডিভাইস থেকে ব্লগের বিষয়বস্তু পড়তে পারে। ব্লগের Header, Post, Sidebar এবং Footer সবগুলি অংশে যাতে Google AdSense এর কোড বসানো যায়। তাছাড়া আপনার ব্লগটির Loading Speed অবশ্যই ভাল হতে হবে। তা না হলে Slow গতীর ব্লগে কোনভাবেই আশানুরূপ ভিজিটর পাবেন না।

    4. Search Engine Friendly: আপনার ব্লগের টেমপ্লেট এবং প্রত্যেকটি পোষ্ট সার্চ ইঞ্জিন Friendly হতে হবে। এটি যে কোন ব্লগকে দ্রুত Google AdSense অনুমোদন পেতে সাহায্য করবে। তাছাড়া Google AdSense এর Robot রয়েছে, যেটি আপনার ব্লগকে স্ক্যান করে নেবে। এ ক্ষেত্রে ব্লগের প্রত্যেকটি পোষ্ট সার্চ ইঞ্জিন Friendly না হলে AdSense অনুমোদন করবে না। তাহলে অবশ্যই আপনাকে SEO এর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

    5. পর্যাপ্ত Content: একটা কথা মনে রাখবেন সবকিছুর মূলেই হচ্ছে ব্লগের Content. আপনার ব্লগে যত ভালমানের Content থাকবে তত বেশী ভিজিটর পাবেন। কাজেই নিয়মিত ভালমানের কনটেন্ট শেয়ার করতে হবে। Google AdSense এ আবেদন করার পূর্বে আপনার ব্লগে কমপক্ষে ২০/২৫ টি ভালমানের ইউনিক পোষ্ট থাকতে হবে। ব্লগের প্রত্যেকটি Categories এ কমপক্ষে ৫ টি করে পোষ্ট হতে হবে।

    6. প্রতিটি Posts এর Limit: প্রত্যেক পোষ্টে অবশ্যই পরিমানমত লেখা থাকতে হবে। শুধু কোনরকম ২০/২৫ টি পোষ্ট করলেই আপনি Google AdSense পাওয়ার জন্য আশা করতে পারেন না। গুগল বট আপনাকে AdSense অনুমোদন দেয়ার আগে এটাও জেনে নেবে যে, প্রত্যেকটি পোষ্টে কি পরিমান লেখা রয়েছে। প্রতিটি পোষ্ট মিনিমাম ৫০০/৬০০ টি ভালমানের Words এর সমন্বয়ে হতে হবে।

    7. কিছু গুরুত্বপূর্ণ Pages: ব্লগের জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ Pages যেমন- About Us, Privacy Policy এবং Contact Us পেজ রাখা আবশ্যক। কয়েক বৎসর আগে Google AdSense Team একটি নিয়ম করেছিল যে, প্রত্যেকটি ব্লগের অবশ্যই Privacy Policy পেজ রাখতেই হবে। তারই নিয়মে অবশ্যই বাকি পেজগুলিও রাখাটা ভাল।

    8. নাম, বয়স এবং ইমেইলঃ আপনার নাম, বয়স এবং ইমেইল এড্রেস অবশ্যই Google Account এবং Contact Us পেজে ব্যবহৃতটির মাধ্যমে করবেন। এতেকরে Google AdSense রোবট সহজে আপনার নাম, বয়স এবং ইমেইল এড্রেস সম্পর্কে নিশ্চিত হবে পারবে। তাছাড়া Google AdSense এ আবেদন করার জন্য আপনার বয়স অবশ্যই ১৮ বৎসর হতে হবে।

    9. সার্চ ইঞ্জিন হতে ভিজিটরঃ সার্চ ইঞ্জিন হতে ভিজিটর পেলে আপনার ব্লগের জন্য Google AdSense পাওয়া আরও সহজ হয়ে যায়। কারণ যে ব্লগে গুগল সার্চ ইঞ্জিন হতে ভিজিটর আসে সে ব্লগকে গুগল বেশী পছন্দ করে। কাজেই সার্চ ইঞ্জিন হতে ভিজিটর পাওয়ার জন্য ভালভাবে SEO অনুসরণ করতে হবে। আপনার ব্লগে যদি ভিজিটর কম থাকে তাহলে AdSense পাওয়ার আশা করতে পারেন না। Google AdSense পাওয়ার জন্য আপনার ব্লগে প্রতিদিন কমপক্ষে ২০০/৩০০ ইউনিক ভিজিটর থাকতে হবে।

    10. অন্য বিজ্ঞাপন না দেওয়াঃ আপনার ব্লগে যদি অন্য কোন ধরনের PPC বিজ্ঞাপন ব্যবহার করেন তাহলে Google AdSense এ আবেদন করার পূর্বে তা সরিয়ে নিতে হবে। অন্যথায় গুগল আপনার ব্লগে AdSense অনুমোদন করবে না। কারণ Google AdSense তাদের বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি অন্য কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখাতে পছন্দ করে না।

     Google AdSense দ্রুত অনুমোদন পাওয়ার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস

    আমরা সবাই জানি যে, Google AdSense অনুমোদন করা খুব কঠিন একটা বিষয়। খুব কম সংখ্যক ব্লগার আছেন যারা অল্প সময়ে সহজে Google AdSense অনুমোদন করতে পেরেছেন। যদিও Google AdSense চালু হওয়ার শুরুর দিকে বিষয়টি সহজ ছিল, কিন্তু যত দিন যাচ্ছে গুগল তাদের AdSense Policy এর পরিবর্তন আনছে। যার ফলে সাধারণ ব্লগারদের পক্ষ্যে AdSense অনুমোদন করাটা আরও কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে।

    আমার কাছে মনেহয় Google AdSense এর Policy অনুসরণ করে ব্লগিং চালিয়ে গেলে যে কেউ ০৬ মাসের পর পরই AdSense অনুমোদন করতে পারবে। কারণ Google AdSense এর সকল ধরনের নিয়ম অনুসরণ করে কোন ব্লগ পরিচালনা করলে গুগল AdSense বট ব্লগটিকে পছন্দ করবেই। এটি আপনাকে সহজে AdSense অনুমোদন করতে সাহায্য করবে। নিচে আমরা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক শেয়ার করব যেটি আপনার ব্লগের জন্য Google AdSense অনুমোদন করতে সাহায্য করবে।
    • SEO Friendly Post লিখাঃ আপনার ব্লগে যে কোন ধরনের কনটেন্ট লিখেন না কেন লিখাগুলি অবশ্যই SEO Friendly হতে হবে। SEO Friendly Post বলতে অনেক জিনিসকেই বুঝায়। যেমন ধরুন- পোষ্টের টাইটেল ভালভাবে লিখা, পোষ্টের ভীতরে ভালমানের কনটেন্ট শেয়ার করা, বানান সঠিকভাবে লিখা, পোষ্টের ভীতরের ছবিগুলির Alt ট্যাগ দেয়া, প্রতিটি পোষ্টের ম্যাটা ট্যাগ এর বর্ণনা ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয়। এ সমস্ত বিষয়গুলি যখন ভালভাবে অনুসরণ করবেন তখন সার্চ ইঞ্জিন সহজে আপনার ব্লগের প্রতিটি পোষ্টের ভাষা বুঝে নিতে পারবে। এ বিষয়টি আপনার ব্লগকে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে গ্রহনযোগ্যও করে তুলবে। আর সার্চ ইঞ্জিনের কাছে ভাল হতে পারা মানে হচ্ছে Google AdSense অনুমোদন পাওয়ার পথ সুগম হওয়া।

    • ইউনিক ভিজিটরঃ প্রতিনিয়তই যখন আপনার ব্লগে নতুন নতুন ভিজিটর আসবে তখন ব্লগটি সবার কাছে পরিচিত হতে থাকবে। সাথে সাথে সার্চ ইঞ্জিনের কাছেও আপনার ব্লগের বিষয় বস্তু সম্পর্কে পরিষ্কার হতে থাকবে। ইউনিক ভিজিটর এর ভীতরেও অনেক বিষয় রয়েছে। যেমন ধরুন- কেউ আপনার ব্লগ ভিজিট করল কিন্তু কোন ভালমানের টপিক না পেয়ে সাথে সাথে চলে গেল, এ ক্ষেত্রে গুগল সার্চ ইঞ্জিন এ ধরনের ভিজিটরদের ইউনিক ভিজিটর হিসেবে গন্য করবে না। আপনার ব্লগে নিত্য নতুন ভিজটরদের যত বেশী সময় অবস্থান করাতে পারবেন, ব্লগের ইউনিক ভিজিটর তত বাড়তে থাকবে। Google AdSense অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে ইউনিক ভিজিটর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

    • ভাল মানের কনটেন্টঃ আমি প্রায়ই এই কথাটি সবাইকে পরামর্শ দিয়ে থাকি যে, ব্লগে সব সময় ভালমানের ইউনিক কনটেন্ট শেয়ার করতে। কারণ ব্লগে ভিজিটর পাওয়ার জন্য সহজ ও প্রধান মাধ্যম হচ্ছে ভালমানের কনটেন্ট। আপনি যখন ব্লগে নিত্য নুতন ভালমানের কনটেন্ট শেয়ার করবেন তখন এই কনটেন্টই আপনার ব্লগে ইউনিক ভিজির নিয়ে আসবে। আর যখন ভিজিটররা আপনার ব্লগ পড়ে ভালমানের কনটেন্ট পাবে তখন ব্লগের আরও কনটেন্ট পড়বে এবং তারা পুনরায় আপনার ব্লগ ভিজিট করবেই। অন্যের ব্লগ থেকে কনটেন্ট কপি করা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকতে হবে। কপি করা কনটেন্ট দিয়ে আপনি কোন দিনই Google AdSense অনুমোদন করতে পারবেন না।

    • প্রতিদিন নতুন কনটেন্ট লিখাঃ এই কাজটি যে কোন ব্লগকে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে অধিক গ্রহনযোগ্য করে তুলবে। সার্চ ইঞ্জিন রোবট প্রতিনিয়তই নতুন আর্টিকেল Index করার জন্য প্রস্তুত থাকে। যখনই কোন ব্লগে ভালমানের নতুন কনটেন্ট পায় সাথে তা গ্রহন করে নেয়। আপনি যদি ব্লগে মাসে মাত্র ৩/৪ টি পোষ্ট করেন তাহলে আপনার ব্লগ সার্চ রোবটদের মনোযোগ কিছুতেই আকর্ষন করতে পারবে না। যার ফলে দেখা যাবে যে ৩/৪ টি পোষ্ট মাসে শেয়ার করছেন সেটিও Index হবে না। আর ব্লগের কনটেন্ট Index না হলে ভিজিটর পাওয়ার পরিমান প্রায় শূন্যের কোটায় চলে আসবে। ব্লগে ভিজিটর কমে যাওয়ার মানে হচ্ছে Google AdSense অনুমোদন পাওয়ার আশা ছেড়ে দেয়া।

    • সার্চ ইঞ্জিনে ব্লগের Sitemap Submit করাঃ এটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই কাজটি ব্লগের নতুন কনটেন্ট গুলিকে সার্চ ইঞ্জিনে দ্রুত Index করতে সাহায্য করবে। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সার্চ ইঞ্জিন হচ্ছে Google, Yahoo এবং Bing. এই ০৩ টি সার্চ ইঞ্জিনের Webmaster Tools এ অবশ্যই আপনার ব্লগের সাইটম্যাপ সাবমিট করে নেবেন। তাছাড়া এই টুলস এর মাধ্যমে আরও বিশেষ কিছু সুবিধা পাবেন। বিশেষ করে আপনার ব্লগের পোষ্টগুলি যথাযথভাবে Index হচ্ছে কি না অথবা কোন ধরনের পোষ্টগুলি দ্রুত Index হচ্ছে এবং কোনগুলিতে বেশী সময় নিচ্ছে। মূলত সার্চ ইঞ্জিনে ব্লগের Sitemap Submit করে রাখলে সার্চ ইঞ্জিনগুলি যে কোন ব্লগ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা নিতে পারে। কাজেই এ বিষয়টির মাধ্যমে গুগল আপনার ব্লগের মান অনুযায়ী Google AdSense অনুমোদন করবে কি না তা নির্ধারণ করবে। এ ক্ষেত্রে ব্লগটি যদি যথাযথভাবে হয়ে থাকে তাহলে সহজে গুগল Webmaster Tools আপনার ব্লগের জন্য Google AdSense অনুমোদন করতে সমর্থন করবে।

    • Google AdSense Policy অনুসরণঃ এ ছাড়াও গুগল AdSense এর বেশ কিছু নিয়মনীতি রয়েছে। অনেক ব্লগার আছেন যারা কখন গুগল AdSense Policy পড়ে দেখেননি। অথচ তারা যথাসময়ে Google AdSense এর আবেদন করছেন। Google AdSense এর আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই AdSense পলিসিগুলি ভালভাবে পড়ে নিবেন। পলিসি পড়ার পর যদি মনেকরেন যে, আপনার ব্লগটি AdSense এর সম্পূর্ণ নিয়ম মেনেই হয়েছে তাহলে AdSense এর জন্য আবেদন করবেন। তা না হলে Google AdSense এর আবেদন করা থেকে বিরত থাকবেন। AdSense এর নিয়মের সাথে যে বিষয়গুলি না মেলে সেগুলি Correction করে নিয়ে প্রয়োজনে আরও কিছু দিন পরে আবেদন করবেন।

    AdSense অনুমোদন না হওয়ার প্রধান ১০ টি কারন


    Google Adsense সর্বপ্রথম ২০০৩ সালের জুন মাসে অফিসিয়ালভাবে চালু করার পর হতে প্রথম ৩-৪ বৎসর যদিও অনুমোদন করা খুব সহজ একটা ব্যাপার ছিল কিন্তু এর পর থেকে যত দিন যাচ্ছে বিষয়টি তত কঠিন হয়ে দাড়াচ্ছে। শুরুর দিকে যে কেউ যেন-তেন কপি করা একটি ব্লগ দিয়েও অনুমোদন করে নিতে পারলেও বর্তমানে একটি ভালমানের ব্লগেও বিভিন্ন নিয়ম সঠিকভাবে না মানার কারনে অনুমোদন করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে যারা পূর্ণাঙ্গভাবে Google Adsense এর সকল নিয়ম মেনে ব্লগিং করছে তারা খুব সহজে অনুমোদন করতে সক্ষম হচ্ছে।
    Adsense দিনের পর দিন তাদের পলিসি পরিবর্তন করার সাথে সাথে বিষয়টি আরও কঠিনতর হয়ে যাচ্ছে। যদিও শুরুর দিকে অনেকে একটি নরমাল ব্লগ দিয়ে Adsense অনুমোদন করতে সক্ষম হয়েছে কিন্তু পরবর্তীতে যথাযথ নিয়ম না মেনে ব্যবহার করার কারনে অনেকের একাউন্ট ব্যান হয়েছে। আর একবার Adsense একাউন্ট ব্যান হলে সেটি আর কখন ফিরে পাওয়া সম্ভব হয় না।

    বর্তমান সময়ের অনেক ভালমানের ব্লগার আছেন যারা বার বার Google Adsense এর জন্য আবেদন করে অনুমোদন করতে না পেরে হতাশ হচ্ছেন। কিছু লোক চেষ্টা করে ব্যর্থ হচ্ছে আবার অনেকে কিছুতেই ব্যর্থতাকে মেনে নিতে পারছেন না। যারা বার বার আবেদন করেও Adsense পাচ্ছে না তাদের জন্য ১০ টি প্রধান কারণ শেয়ার করতে যাচ্ছি। এ গুলি নিশ্চয় আপনার ব্লগের ভূলগুলিকে সংশোধন করতে সাহায্য করবে।

    ০১. ব্লগের বয়স কম হওয়াঃ

    Google AdSense এ আবেদন করার পূর্বে আপনার ব্লগের/ওয়েবসাইটের বয়স কমপক্ষে ৬ মাস হতে হবে। বিশেষ করে এশিয়া মহাদেশের কোন জায়গা থেকে আবেদন করার জন্য ব্লগের বয়স ৬ মাস পূর্ণ না হওয়া অবধি আবেদন করাই সম্ভব হয় না। কাজেই ব্লগের বয়স ৬ মাস পূর্ণ হওয়ার পরে Adsense এর জন্য আবেদন করা উচিত।

    ০২. অপর্যাপ্ত কনটেন্টঃ

    একটি ব্লগ পরিচালনা করার জন্য কনটেন্ট হচ্ছে তার প্রাণ। আপনার ব্লগে যত ভালমানের Content থাকবে তত বেশী ভিজিটর পাবেন। Google AdSense এ আবেদন করার পূর্বে আপনার ব্লগে কমপক্ষে ২০/২৫ টি ভালমানের ইউনিক পোষ্ট থাকতে হবে। ব্লগের প্রত্যেকটি Categories এ কমপক্ষে ৫ টি করে পোষ্ট হতে হবে। কারণ Adsense কর্তৃপক্ষ আপনার ব্লগটিকে অনুমোদন করা পূর্বে ভালভাবে যাচাই করে দেখবে ব্লগের পর্যাপ্ত পরিমানে কনটেন্ট আছে কি না।

    ০৩. Poor Quality কনটেন্টঃ

    ব্লগে শুধুমাত্র পর্যাপ্ত কনটেন্ট থাকলেই হবে না, পোষ্টগুলি অবশ্যই ভালমানের হতে হবে। আপনি যেন-তেন কিছু লেখা ব্লগে ছাপিয়ে রেখেই পর্যাপ্ত কনটেন্ট রয়েছে মনেকরে Adsense পাওয়ার জন্য আবেদন করলে কিছুতেই অনুমোদন হবে না। আপনি যদি ব্লগিং ‍শুরু করার পূর্বে মনেকরে থাকেন যে, ভবিষ্যতে আপনার ব্লগে গুগল এ্যাডসেন্স ব্যবহার করে অনলাইন হতে আয় করবেন, তাহলে অবশ্যই এমন বিষয় নিয়ে লিখা শুরু করবেন যার মূল্য সার্চ ইঞ্জিনসহ সকল ধরনের পাঠকের কাছে রয়েছে। আপনার ব্লগে যখন ভালমানের কনটেন্ট থাকবে তখন ব্লগটি সবার কাছে গ্রহনযোগ্য হবে। যার ফলে গুগল এ্যাডসেন্স পাওয়ার পথ সুগম হবে।

    ০৪. ইউনিক কনটেন্টঃ

    এটি ব্লগিং এবং গুগল এ্যাডসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কমন ও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই বিষয়টির ভীতরের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য কেউই ভালভাবে বুঝতে চান না বা বুঝতে সক্ষম হন না। অনেকের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার হয় না যে, আসলে ইউনিক কনটেন্ট বলতে কি? বেশীরভাগ লোকই মনেকরে কারও ব্লগ থেকে কপি করা কনটেন্ট ব্যবহার না করলেই সেটি ইউনিক কনটেন্ট হয়। মূলত বিষয়টির পরিপূর্ণ অর্থ এ ভাবে হচ্ছে না। তবে হ্যাঁ, অবশ্যই আপনার ব্লগের প্রত্যেকটি পোষ্ট অন্যের ব্লগ থেকে কপি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। ইউনিক কনটেন্ট বলতে সেটাকে বুঝাবে, যেটির বিষয়বস্তু অন্য কারও সাথে কোনভাবেই মিলছে না। এখন আপনি হয়ত বলবেন আমি যেহেতু কারও কোন কনটেন্ট কপি করিনি তাহলে কথাত এটাই হচ্ছে। এ জন্য আমি বিষয়টি উদাহরনের মাধ্যমে আরও পরিষ্কার করছি।

    ধরুন-আপনি হিন্দি সিনেমার রিভিউ নিয়ে ব্লগিং করেন। এ ক্ষেত্রে আপনি “দিলওয়ালে” সিনেমার একটি পূর্ণাঙ্গ রিভিউ নিজের ভাষায় বর্ণনা করলেন। তখন আপনি বলবেন এটি সম্পূর্ণ আপনার নিজের ভাষায় লিখা একটি ইউনিক কনটেন্ট, কিন্তু আপনি হয়ত জানেন না এর পূর্বে “দিলওয়ালে” সিনেমার পরিচালক তাদের অফিসিয়াল ব্লগে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রিভিউ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে কোনভাবেই আপনার কনটেন্ট ইউনিক হতে পারে না। এখানে তাদের অফিসিয়াল রিভিউ সবার কাছে হবে ইউনিক এবং সবচাইতে গ্রহনযোগ্য। এ ভাবে প্রত্যেকটা বিষয়ের ক্ষেত্রে একই অর্থ দাড়াবে। ইউনিক বলতে কেবল ঐ বিষয়টাকে বুঝাবে যেটি কারও সাথে কোনভাবেই মিলে না। আপনি যদি ২০/২৫ ইউনিক কনটেন্ট শেয়ার করতে পারেন তাহলে Google Adsense একাউন্ট অনুমোদন হবেই হবে।

    ০৫. অনুপযুক্ত কনটেন্টঃ

    কিছু কনটেন্ট রয়েছে যেগুলি ব্যবহার করা Blogger Policy এর বাহিরে। যেগুলি ব্যবহার করলে সাধারণ মানুষের ক্ষতি হতে পারে। এ ধরনের কনটেন্ট ব্যবহার করে যত ট্রাফিকই পান না কেন ব্লগের Adsense অনুমোদন হবে না। নিচে দেখুন-
    • পর্ণগ্রাফি/Adult কনটেন্ট।

    • হ্যাকিং বা ক্রাকিং টিপস।

    • থার্ড পার্টি ভিডিও শেয়ারিং ব্লগ।

    • বিভিন্ন মাদক জাতীয় দ্রব্যের প্রচার বা প্রসার।

    • Alcohol দ্রব্যের প্রতি আকৃষ্ট করা।

    • পরস্পর বিরোধী কনটেন্ট।

    • মারাত্মক অস্ত্রের বিজ্ঞাপন।

    ০৬. পর্যাপ্ত ট্রাফিক না থাকাঃ

    আপনার ব্লগে যদি পর্যাপ্ত ট্রাফিক না থাকে তাহলে কোনভাবেই Google Adsense অনুমোদন হবে না। ব্লগে যখন পর্যাপ্ত পরিমানে Organic ট্রাফিক থাকবে তখন খুব সহজেই এ্যাডসেন্স অনুমোদন হবে। কারন গুগল চায় এমন কাউকে এ্যাডসেন্স একাউন্ট দিতে যার ব্লগের মাধ্যমে তারা ভিজিটরদের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে লাভবান হতে পারে। আপনি যখন ভালভাবে SEO মেনে ভালমানের ইউনিক কনটেন্ট শেয়ার করবেন তখন ট্রাফিক অটোমেটিক্যালি বাড়তে থাকবে। তবে একটা ব্যাপার মনে রাখবেন কোন প্রকার Paid Traffic মাধ্যমে ভিজিটর বৃদ্ধি করে কোন লাভবান হতে পারবেন না। যখন কোন প্রকার সোসিয়াল মিডিয়া ছাড়া শুধুমাত্র গুগল সার্চ ইঞ্জিন হতে পর্যাপ্ত পরিমানে ভিজিটর পাবেন তখন Adsense আপনাকে সহজে অনুমোদন করবে।

    ০৭. ব্লগের ডিজাইন ভাল না হওয়াঃ

    আপনি যখন কোন ব্যবসা শুরু করবেন তখন অবশ্যই আগে আপনার দোকান বা ব্যবসার জায়গাটি ভালভাবে সাজিয়ে চক-চকে করে নেবেন। তারপর ব্যবসা করার প্রয়োজনীয় উপকরন দোকানে বসাবেন। ব্লগের বিষয়টি ঠিক সে রকম। আপনার ব্লগটি যদি ভাল ডিজাইনের না হয় এবং Google Adsense কোড বসানোরমত পর্যাপ্ত জায়গা না থাকে তাহলে কিছুতেই এ্যাডসেন্স অনুমোদন করবে না। কারণ আপনার ব্লগের প্রয়োজনীয় জায়গায় বিজ্ঞাপন বসিয়ে পরিষ্কারভাবে ভিজিটরদের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করাতে না পারলে তাদের কোন লাভ হবে না। কাজেই ব্লগের ডিজাইন অবশ্যই Responsive, স্বচ্ছ এবং Adsense Ad ব্যবহারের উপযোগী হতে হবে।

    ০৮. টপ লেভেলে ডোমেন ব্যবহার না করাঃ

    বিশেষ করে এখনকার সময়ে Google AdSense অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে Domain অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অধীকাংশ নতুন ব্লগাররা তাদের ব্লগে ভালমানের ডোমেন ব্যবহার না করে Sub-Domain (Blogspot.com অথবা Wordpress.com) ব্যবহার করে Google AdSense এর জন্য আবেদন করেন। যার ফলে দেখা যায় গুগল তাদের আবেদন সরাসরি নাকুচ করে দেয়। তবে এক সময় ছিল যখন Sub-Domain দিয়েও খুব সহজে AdSense অনুমোদন করা সম্ভব হত, কিন্তু সম্প্রতি এ বিষয়টি বেশ কঠিন হয়েগেছে। কাজেই বিষয়টি সহজ করার জন্য ব্লগিং শুরু করার পূর্বে একটি ভালমানের Custom Domain কিনে নেয়াটাই উত্তম হবে।

    ০৯. Privacy Policy ও Terms of Service Inform না থাকাঃ

    যে কোন ব্লগের জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ Pages যেমন- About Us, Privacy Policy এবং Contact Us পেজ রাখা আবশ্যক। কারণ এগুলির মাধ্যমে Adsense আপনার ব্লগ সম্পর্কে জেনে নিয়ে নিশ্চিত হতে পারবে আসলে ব্লগটার Owner আপনি কি না। কয়েক বৎসর আগে Google AdSense Team একটি নিয়ম করেছিল যে, প্রত্যেকটি ব্লগের অবশ্যই Privacy Policy পেজ রাখতেই হবে। তারই নিয়মে অবশ্যই বাকি পেজগুলিও রাখাটা ভাল।

    ১০. অন্য বিজ্ঞাপন ব্যবহারঃ

    আপনি যদি ব্লগে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে থাকেন তাহলে Google Adsense এ আবেদন করার সময় অবশ্যই সেগুলি Remove করে নিবেন। কারণ Google Adsense Team আপনার ব্লগটি রিভিউ করার সময় কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখতে পেলে Adsense অনুমোদন করবে না। তাছাড়া এটি Adsense Policy এর আওতায়ও পড়ে না।

    Advanced ট্রিকসঃ

    এ ছাড়াও Google Adsense অনুমোদন না হওয়ার আরও বেশ কিছু কারণ রয়েছে। যেগুলি সম্পর্কে এখন বিস্তারিত আলোচনা করা সম্ভব নয়। নিচে আমরা সংক্ষেপে বিষয়গুলি তুলে ধরছি।
    • আবেদনকারীর বয়স ১৮ বৎসর না হওয়া।

    • Evil সাইটে ব্লগের লিংক করা থাকলে।

    • সাইট Malware এ আক্রান্ত হলে।

    • ব্লগটির প্রকৃত মালিক নিজে না হলে।

    • ব্লগের Navigation সহজে বুঝা না গেলে।

    • বাচ্ছাদের Privacy Protection Act এর বহিঃভূত হলে।

    • ব্লগের কনটেন্টের ভাষা সাপোর্ট না করলে।

    • পূর্বে কখন Adsense Account ব্যান হলে।

    • সঠিকভাবে Adsense Policy অনুসরণ না করলে।
    সর্বশেষঃ যারা ইতিপূর্বে Google Adsense এ Apply করে অনুমোদন করতে ব্যর্থ হয়েছেন তারা উপরের টিসগুলি ভালভাবে পড়লে পূর্বে আপনি কোথায় ভূল করেছেন সেটি সহজে Find Out করতে পারবেন। অন্যদিকে যারা এখন Adsense এ Apply করেননি তারা এই টিপসগুলি অনুসরণ করলে খুব সহজে প্রথমবারেই অনুমোদন করতে সক্ষম হবেন।

    No comments:

    Post a Comment

    Fashion

    Beauty

    Travel