• সর্বশেষ প্রকাশনা

    Wednesday, January 4, 2017

    পেনশনের হিসাব নিজেই করুন দেখুন বিস্তারিত

    নতুন বেতন স্কেল এই মাস থেকে পূর্ণভাবে কার্যকর হয়ে গেছে। তাই বেতন ও পেনশনের নতুন হিসাবে বেতন-ভাতাদি পাওয়া যাবে।
    কিভাবে করবেন পেনশনের হিসাব? চাকুরী ২৫ বছর হলে আপনি আপনার পেনশনের ৮০(%) শতাংশ পাওনাদার হবেন। চাকুরী ১০ বছর হলে আপনি পেনশনের আওতায় আসবেন। আপনি তখন মোট পেনশনের ৩২(%) শতাংশ প্রাপ্ত হবেন। ১০ বছরের নীচে চাকুরীকাল হলে আপনি পেনশনের আওতাভুক্ত বলে গণ্য হবেন না।
    আপনি কত টাকা পেনশন পাবেন?  ধরুন, আনোয়ার সাহেবের চাকুরী কাল ১৫ বছর। তার বর্তমান বেসিক ১০ হাজার টাকা।
    তাহলে–
    . তিনি মোট পেনশনের কত শতাংশ পাবেন?
    সূত্রটি হল: চাকুরীকাল x ৩.২= পেনশন প্রাপ্তির শতকরা হার
    সুতরাং- ১৫ x ৩.২= ৪৮%
    . তিনি কত টাকা এককালীন পাবেন?
    সূত্রটি হল: (বেসিক বেতন x শতকরা হার) ÷ ২ x বাধ্যতামুলক সমর্পিত অনুতোষিক
    সুতরাং- (১০০০০ x ৪৮%) ÷ ২ x ২০০
    = ৪৮০০ ÷  ২ x ২৪৫
    = ২৪০০ x ২৪৫
    = ৫৮৮০০০ টাকা
    . তিনি প্রতি মাসে কত টাকা করে পাবেন?
    সূত্রটি হল: (বেসিক বেতন x শতকরা হার) ÷ ২ + ৭০০
    সুতরাং- (১০০০০ x ৪৮%) ÷ ২ + ৭০০
    = ৪৮০০ ÷  ২+ ৭০০
    = ২৪০০ +৭০০
    = ৩১০০ টাকা
    পেনশন সুবিধার আওতাভুক্ত অবসর গ্রহণকারী চাকুরে কিংবা মৃত্যবরণকারী চাকুরের পরিবারের জন্য বিধিমোতাবেক প্রাপ্য আনুতোষিকের হার নিম্নরূপভাবে পুনঃনির্ধারণ করা হল:
    ক) বাধতামূলকভাবে সমর্পিত আনুতোষিকঃ অবসর গ্রহণকারী চাকুরে কিংবা মৃত্যবরণকারী চাকুরের পরিবার বিধি মোতাবেক বাধ্যতামূলকভাবে সমর্পিত অর্ধেক(৫০%) গ্রস পেনশনের প্রতি ১ (এক) টাকার বিপরীতে নিম্নোক্ত ছকের ৪র্থ কলামে বর্ণিত হারে আনুতোষিক প্রাপ্য হবেন।
    ক্রমিক নং           পেনশনযোগ্য চাকুরীকাল                আনুতোষিকের হার (টাকায়)
    .                                                                                 বিদ্যমান       পুনঃনির্ধারিত
    ১                 অন্তত ১০ বছর থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত                ২৩০ টাকা       ২৬০ টাকা
    ২                 ১৫ বছরের বেশি কিন্তু ২০ বছরের কম              ২১৫ টাকা       ২৪৫ টাকা
    ৩                ২০ বছর বা ততোধিক                                  ২০০ টাকা       ২৩০ টাকা
    (খ) স্বেচ্ছায় সমর্পিত অবশিষ্ট আনুতোষিকঃ গ্রস পেনশনের অবশিষ্ট অর্ধেক (৫০%)একসাথে সমর্পণকারী অবসরভোগীগণ কলাম-৪ এ বর্নিত হারের অর্ধেক হারে আনুতোষিক প্রাপ্য হবেন।
    পেনশন হিসাব করতে প্রথমেই আপনাকে আপনার  চাকুরীর মেয়াদ হিসাব করতে হবে। অর্থা’ চাকুরীতে যোগদানের তারিখ হতে অবসরের তারিখ পর্যন্ত মোট সময়কাল। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে চাকুরী জীবনে আপনি যদি কখন বিনা বেতনে ছুটি ভোগ করেন বা কোন সময়ের জন্য বেতন না পেয়ে থাকেন বা কোন অপরাধে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সাসপেন্ড থাকেন যা পরে দোষী প্রমানিত হয় তবে সে সময়টি আপনার চাকুরীর মেয়াদ হতে বাদ  দিয়ে আপনার মোট চাকুরীর সময়কাল হিসাব করা হবে। তারপর সে সময়কালকে বিবেচনা করে সরকার নির্ধারিত রেট অনুসারে আপনি শতকরা কতভাগ পেনশন পাবেন তা হিসাব করা হবে। একইভাবে সেই সময়কালকে বিবেচনা করেই আপনার আনুতোষিক হিসাব করা হবে। আরো স্পষ্ট করার জন্য চলুন একটি উদাহরন দিয়ে বোঝান যাক-
    উদাহরন: ধরুন করিম সাহেব, যার জন্ম তারিখ ১/৮/১৯৫৩, চাকুরীতে যোগদানের তারিখ ১/০৬/১৯৭৮ এবং অবসর গ্রহণের তারিখ ১/৮/২০০৩। তিনি ১/৮/৮৫ হতে ৩ মাস গড় বেতেনে ছুটিতে এবং ৬ মাস বিনা বেতনে ছুটিতে ছিলেন। তিনি ১/৩/৯৫ তারিখ হতে ৬ মাস অননুমোদিত ছুটিতে ছিলেন এবং কোন বেতন পান নাই।  ধরে নেই উনার শেষ আহরিত বেতন ৩০০০০/- টাকা।
    যেহেতেু তিনি ৬ মাস  বিনা বেতনে ছুটিতে এবং ৬   মাস অননুমোদিত ছুটিতে ছিলেন তাই এ সময়টা উনার মোট চাকুরীকাল হতে বাদ যাবে।

    উদাহরন: ধরুন মি: ক , যার জন্ম তারিখ ১/৮/১৯৫৩, চাকুরীতে যোগদানের তারিখ ১/০৬/১৯৭৮ এবং অবসর গ্রহনের তারিখ ১/৮/২০০৩ তিনি ১/৮/৮৫ হতে ৩ মাস গড় বেতেনে ছুটিতে এবং ৬ মাস বিনা বেতনে ছুটিতে ছিলেন। তিনি ১/৩/৯৫ তারিখ হতে ৬ মাস অননুমোদিত ছুটিতে ছিলেন এবং কোন বেতন পান নাই। ধরে নেই উনার শেষ আহরিত বেতন ৩০০০০/- টাকা।
    যেহেতেু তিনি ৬ মাস বিনা বেতনে ছুটিতে এবং ৬  মাস অননুমোদিত ছুটিতে ছিলেন তাই এ সময়টা উনার মোট চাকুরীকাল হতে বাদ যাবে।
    হিসাব:                         বছর           মাস             দিন
               অবসর                        ২০০৩             ৮                     ১
             যোগদান                        ১৯৭৮            ৬                   ১
             সময়কাল       ২৫                 ২                   ০
    অর্থাৰ উনার মোট চাকুরী কাল ২৫ বছর ২ মাস ১দিন ( যোগদানের ১দিন যোগ করে) কিন্ত উনি মোট ১২ মাস ভিন্ন ভিন্ন কারনে বেতন পান নাই তাই নীট পেনশন যোগ্য চাকুরীর মেয়াদ হিসাব করার জন্য এ সময়কাল বাদ দিতে হবে। নীট পেনশন যোগ্য সময়কাল
    হিসাব:                         বছর           মাস             দিন
               সময়কাল        ২৫               ২                     ১
             বিনাবেতনে                           ৬                ০
    অননুমোদিত ছুটি                            ৬                   ০            
    নীট পেনশন যোগ্য     ২৪                 ২                   ০
    অর্থাৰ উনার নীট পেনশন যোগ্য সময়কাল ২৪ বছর ২ মাস। এখন নিচের টেবিল হতে দেখে নিন ২৪ বছর চাকুরীর জন্য সরকার নির্ধারিত পেনশনের পরিমান কত। ২৪ বছর হলে ২০১৫ গেজেট অনুসারে ৮৭%। তাহলে উনার পেনশন হবে..
    হিসাব : শেষ আহরিত বেতন ৩০০০০/- টাকা
    মোট পেনশন = ৩০০০০x৮৭/১০০   বা ২৬১০০ টাকা
    ১/২ অংশ সমর্পণ= ২৬১০০x ১/২ বা ১৩০৫০ টাকা ( অর্ধেক সরকারকে সমর্পণ করতে হয়)
    মাসিক পেনশন= ২৬১০০-১৩০৫০=১৩০৫০ টাকা
    আনুতোষিক =১৩০৫০ x ২৩০= ৩০০১৫০০ টাকা
    ( সরকার নির্ধারিত ২০ বছরের উর্দ্ধে চাকুরী    করলে ১ টাকা সমান ২৩০ টাকা ধরা হয়। নিচের টেবিলে দেখুন )
    এখানে লক্ষ্যনীয় যে তিনি ২৫ বছর চাকুরী করেছেন কিন্ত বিনা বেতনে ছুটি ভোগ বা ভিন্ন কারনে বেতন না পাওয়াতে চাকুরীর মেয়াদ কমে যাওয়াতে উনি আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলেন। ২৫ বছর চাকুরী হলে উনি ৯০% পেনশন পেতেন ।সে কারনে সরকারি চাকুরি বিনা বেতনে ছুটি ভোগ করা বা কোন কারনে বেতন না পেলে ভিষন ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয়। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকা উচিৎ।

    ফ্রিতে ফুলকোর্স ভিডিও এডিটিং শিখুন ২০ মিনিটে, দেখলে অবশ্যই শিখবেন

    No comments:

    Post a Comment

    Fashion

    Beauty

    Travel