• সর্বশেষ প্রকাশনা

    Wednesday, January 4, 2017

    অনলাইনে আয় করার খুটিনাটি বিষয় আসুন শিখি এবং মাসে ১৫০০০-১৫০০০০ টাকা

    আপনি কি অনলাইনে আয়ের সঠিক উপায় খুঁজছো? তাহলে, এখনি এই পোষ্টি পড়ুন। আপনার যদি সঠিক দক্ষতা থাকে তাহলে মাসে ১৫০০০-১৫০০০০ টাকা বা তারও বেশী অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন। অনলাইনে আয় নির্ভর করে কাজের দক্ষতার উপর।তাই আসুন জানি, অনলাইনে কিভাবে, কোথা থেক, কোন মাধ্যমে, আয় করা যায়।
    অনলাইনে আয় নিয়ে অনেক জল্পনা কল্পনা বিশেষ করে তরুণ ও যুবকদের মাঝে এই নিয়ে উৎকণ্ঠা দিন দিন প্রসারিত হচ্ছে। কিন্তু মূল সমস্যা হচ্ছে সঠিক গাইডলাইনের অভাব। কিভাবে কি করবে তা বুঝতে পারেনা। সঠিক নির্দেশিকা না থাকায় এই পেশায় নুতুন্দের অনেক ভোগান্তি ও কষ্ট করতে হয়। তাই নতুনদের জন্য আজকের এই পোষ্টটি দেওয়া হল। এখানে অনলাইনে কিভাবে আয় করবেন? ও কিভাবে কোথা থেকে শুরু করবেন? তার সঠিক পদ্ধতি ধারাবাহিকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তাছাড়া কাজের গতি বাড়িয়ে কিভাবে উপরে ওঠবেন সে বিষয়ও আলোচনা করা হয়েছে। নিন্ম বর্নিত লেখা পড়লে সব পানির মতো পরিষ্কার হবে। তাহলে সুরু করা যাক।

    অনলাইনে আয় কি সত্যি করা যায়?

    অনলাইন হচ্ছে এমন একটি কাজের মাধ্যম যেখানে প্রতিটি মুহুর্তে আয় করা সম্ভব। আবার আয়টা ব্যক্তি স্বাধীনতা বজায় রেখে নিজের ঘরে বসে করা সম্ভব। আমাদের দেশের চাকুরীজীবীদের মার্কেটের তুলনায় এখানে কাজ করা অনেক ভাল। এখানে ব্যক্তির পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে। অনলাইনে আয় সংক্রান্ত অনেক প্রতিবেদন বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে বেশ কয়েকবার প্রচারিত হয়েছে। যদি আপনি প্রতিবেদন দেখতে চান তাহলে নিচের লিংকে ক্লিক করুন-
    ATN News এখানে ক্লিক করুন।   
    সময় টিভি এখানে ক্লিক করুন। 
    চ্যানেল ২৪  এখানে ক্লিক করুন। 
    এখন বুঝলেন বিষয়টা? যেপ্রতিবেদন গুলো টিভি চ্যালেনে প্রচারিত হয়েছে তা কখনো ভুয়া হবে না। তবে অনলাইনে কাজ করার জন্য আপনার কোন জামানতের বা অগ্রীম টাকা দিতে হবে না। তাই সঠিক তথ্য রেখে নিজে নিরাপদ ও সচেতন থাকুন, তাতে সফলকাম অবশ্যই হবেন। তাহলে চলুন মূল কথায় যাই-
    অনলাইনে আয় কি?
    আসলে অনলাইনে আয় বলতে অনলাইনে কাজ করে টাকা উপার্জনকে বোঝায়। অনলাইন থেকে আয় করার পূর্ব শর্ত হচ্ছে একটি কম্পিউটার এবং সচল ইন্টারনেট সংযোগ। এই ক্ষেত্রে কিছু স্পেশাল কাজ ব্যতীত সব ধরনের সাধারন কম্পিউটার দিয়েই অনলাইনে কাজ করা যেতে পার।
    অনলাইনে কাজেঃ
    অনেকে প্রায়ই বলেন অমুক লোক অই কাজ করে, আবার আরেকজন অন্য কাজ করে, তাহলে এই বিভিন্ন কাজ গুলো কি? এবং কোথা থেকে আসে।অনলাইনের আয়ের সাথে আমাদের বাস্তব জীবনের আয়ের তুলনা করলে সহজেই অনলাইনে আয়ের ব্যাপারটা বোঝা সম্ভব। বাস্তব জীবনে অর্থ উপার্জনকে আমরা সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করতে পারি । যেমন-
    ১. চাকুরি
    ২. ব্যাবসা
    ঠিক বাস্তব জীবনের মতো অনলাইনেও আপনি দুই ধরনের পদ্ধতিতেই টাকা উপার্জন করতে পারবেন। ব্যাবসা এবং চাকুরি দুই ধরনের সুযোগ রয়েছে। আর এই চাকরি এবং ব্যাবসা কাজগুলো কি? এই দুটির মধ্যে পার্থক্য কি? এ বিষয়ে নতুনদের মাঝে পুরাপুরি ধারনা থাকতে হবে। কারন, আপনাকে কাজ করার পূর্বে অবশ্যই জেনে নিতে হবে আপনি কি করতে যাচ্ছেন, কেন করতে যাচ্ছেন। না জেনে যে কোন সিদ্ধান্ত আপনার ব্যর্থতার কারণ হতে পারে। এখন চলুন এই দুই প্রকার অনলাইন কাজ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাক।
    অনলাইনে ব্যাবসা করে আয়ের কয়েকটি ধাপঃ
    বাস্তব জীবনের ব্যাবসার মতো অনলাইনেও ব্যাবসা করে টাকা ইনকাম করা যায়। অনলাইনে ব্যাবসা এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে অনলাইনে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করা। দেশে এবং বিদেশে এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা অনলাইনে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার বিভিন্ন পন্য বিক্রি করছে। অনলাইনে পন্য বিক্রির এই ব্যাবসাকে বলা হয় ই-কমার্স বিজনেস। তাছাড়া অনলাইনে আরও অনেক ব্যাবসার রয়েছে। তাদের মধ্যে- ব্লগিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি অন্যতম।
    নিজের ওয়েবসাইট থেকে ব্লগিং করে আয়ঃ
    প্রথমে আপনি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরী করে যেখানে নিয়মিত বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করা করতে হবে। এই সাইটে আপনাকে আগে ভাল মানের তথ্য সমৃদ্ধ একটি ব্লগ তৈরি করতে হবে, যেখানে মানুষের দরকারি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করবেন। এতে করে মানষের প্রয়োজনে এই তথ্য গুলো দেখার জন্য অনেকেই আপনার ওয়েব সাইটে ভিজিট করবে। মানুষ যদি চাহিদা অনুযায়ী তথ্য পায় তাহলে একজন দুইজন করে সময়ের ব্যবধানে প্রতিদিন বহু লোক ভিজিট করবে এবং এই ব্লগ ধীরে ধীরে ব্লগ জনপ্রিয় উঠবে। তখন আপনি সেই ব্লগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন বসিয়ে আপনি আপনার ব্লগ থেকে আয় করতে পারেন।
    ব্যাপারটা অনেকটা টিভি চ্যানেলের মত। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের অনুষ্টান দেখার সময় আমরা বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন দেখতে পাই। যে টিভি চ্যানেলের দর্শক বা জনপ্রিয়তা যত বেশি তার বিজ্ঞাপন রেট তত বেশি এবং আয়ও তত বেশি। ঠিক একই ভাবে আপনার সাইটের ভিজিটর বা পাঠক যত বেশি হবে আপনার সাইটের বিজ্ঞাপন রেটও তত বেশি হবে এবং আপনার আয়ও তত বেশি হবে। এছাড়াও এখন প্রায় সকল জাতীয় পত্রিকা গুলোর অনলাইন ভার্শন রয়েছে এবং তাদের ওয়েবসাইটে লক্ষ করলে দেখা যায় যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন। এই বিজ্ঞাপন সাইটে প্রদর্শন করে তারা আয় করে।
    অনলাইনে কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যাবসা করা যায়ঃ
    এটি একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে কোন পন্যের প্রচার করবেন আর যখন পন্য বিক্রি হবে, তখন আপনি এর থেকে কমিশন পাবেন। তবে, আপনাকে বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য অনলাইনে প্রচার চালিয়ে বিক্রি করে দিতে হবে। প্রতি বিক্রিতে ওই কোম্পানি আপনাকে কিছু কমিশন দেবে।  এখানে অনেক আধুনিক আর ভালো পন্য আছে যেগুলো বিক্রি করা যায় আর মানুষ কিনতেও আগ্রহী; আপনি একজন এফাইলিয়েট হয়েও কাজ করতে পারেন। আপনি “ক্লিক ব্যাংক”-এর মাধ্যমে একজন এফাইলিয়েট হয়ে পন্য বিক্রয় করতে পারেন।
    ধরুন অসুস্থার কারনে একজন হাসপাতালে গেলেন। ডাক্তার তাকে দেখে প্রেসক্রিপশন লিখে দিলেন। এখানে ডাক্তার চুক্তিবদ্ধ কোম্পানির ঔষধের নাম লিখলেন কারন ডাক্তার এই কোম্পানি থেকে কমিশন পায়। এর মানে হচ্ছে ডাক্তার ওই কোম্পানির একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে কাজ করেছেন। ঠিক এটাই হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং।

     ছবির তোলার মাধ্যমে অর্থ উপার্জনঃ

    যদি আপনি ভাল ফটোগ্রাফার বা চিত্রগ্রাহক হন, তাহলে আপনার তোলা আকর্ষনীয় ছবিগুলো অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। অনেক ডিজাইনার আছে অনলাইনের তাদের প্রজেক্টের জন্যে ভাল মানের ছবি খুঁজে থাকেন, আপনি তাদের নিকট ছবিগুলো বিক্রি করতে পারেন। আবার ছবিগুলো আই-স্টক-ফটোস্‌ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রিও করতে পারেন।
    আপনি যে কোন বিষয়ের উপর বই লিখে কিন্ডেল স্টোর , গুগল, বা আইবুক ইত্যাদিতে ইবুক হিসাবে প্রকাশ করুন। আপনি চাইলে অন্য রিটেইলারদের কাছে বিক্রয় করতে পারেন। আবার অনলাইনে টিউশন এর মাধ্যমে আয় করা সম্ভব।

       অনলাইনে চাকরি বা ফ্রীল্যান্সিং?

    অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসেই যেকোন দেশের কোম্পানীর বিভিন্ন প্রকার কাজ করতে পারি। নতুনরা অনেকে অবাক হবেন তবে এটাই সত্য। অনলাইনের কাজটা আমার বাস্তব কাজের মতো হলেও, এখানে অনেক সযোগ-সুবিধা রয়েছে ।যেমন বাস্তবে চাকরি করতে গেলে শিক্ষাগত যোগ্যতা দরকার হয়।কিছুকিছু ক্ষেত্রে আবার এমন কিছু লাগে যা লিখা সম্ভব না। কিন্তু অনলাইনে কাজ করতে এগুলো কিছুই লাগে না। এখানে দরকার শুধু কাজের দক্ষতা। অনলাইনে কাজের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে স্বাধীনতা। বাস্তব জীবনের মতো এখানে বাধা ধরা সময় লাগে না।এখানে আপনি সম্পূর্ণই স্বাধীন বা মুক্ত ভাবে কাজ করতে পারবেন। তাই এই চাকরিকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সিং বা মুক্তপেশা। এই পেশায় শুধুমাত্র দক্ষতা বা কাজ জানা থাকলেই অবশ্যই অবশ্যই কাজ পাবেন। অনলাইনে লক্ষ লক্ষ ফ্রীল্যান্সার কাজ করে।

    কিভাবে এবং কোথায় এই চাকরি পাওয়া যায়ঃ

    বিভিন্ন কোম্পানি বা প্রতিষ্টান জনবল নিয়োগের জন্য বিভিন্ন পত্রিকায় বা প্রচার মাধ্যমে চাকরির বিজ্ঞাপন দেয়। আমরা সেই বিজ্ঞাপন দেখে ওই কোম্পানীর সাথে নিয়ম অনুযায়ী চাকুরির জন্য যোগাযোগ করি।
    অনলাইনের চাকুরির ব্যাপারটা উপরোক্ত বর্ননার চাকরির মতোই । তবে এখানে, চাকুরীদাতা এবং চাকরি প্রার্থীর মধ্যে একটি নিরাপদ যোগসূত্র তৈরি করার জন্য রয়েছে অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস বা মাধ্যম।এই সকল মাধ্যম গুলো মূলত হচ্ছে এক একটি ওয়েব সাইট। এই সাইটগুলোতে মূলত দুই প্রকারের অ্যাকাউন্ট করা যায়। একটি হচ্ছে ওয়ার্কার বা ফ্রিল্যান্সার অ্যাকাউন্ট এবং আরেকটি হচ্ছে বায়ার বা ক্লাইন্ট অ্যাকাউন্ট। বায়ার বা ক্লাইন্ট কাজ দেয় এবং ফ্রিল্যান্সার বা ওয়য়ার্কার কাজ করেন

    কয়েকটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট/মার্কেটপ্লেস এর তালিকা দেওয়া হলঃ

    1. Upwork যার পূর্ব নাম Odesk+ Elance
    2. Freelancer.com
    3. Vworker.com
    4. Guru.com
    5. Scriptlance.com
    6. Getacoder.com
    7. 99designs.com
    8. Peopleperhour.com
    9. freelanceswitch.com
    10. Rent a coder.com
    11. Jumlalancer
    12. com/Adsense
    এ ধরনের কিছু সাইট এর তালিকা দেওয়া হল:
    1. Themeforest.net
    2.  Graphicriver.net
    3.  Codecanyon.net
    4. Activeden.net
    5. 3docean.net
    6. Audiojungle.net
    7. Videohive.net
    Upwork বা Odesk+ Elance সম্পর্কে বিস্তারিত
    অনলাইনে আয় করার সবচেয়ে বড় মাধ্যম আপওয়ার্ক(UpWork) পর্ব-০১
    অনলাইনে আয় করার সবচেয়ে বড় মাধ্যম আপওয়ার্ক(UpWork) পর্ব-০২
    অনলাইনে আয় করার সবচেয়ে বড় মাধ্যম আপওয়ার্ক(UpWork) পর্ব-০৩

    অনলাইনে উপার্জিত টাকা উত্তলনঃ

    অনেকের ধারনা টাকা তুলতে মাস্টারকার্ড লাগে কিন্তু সেটা পুরোপুরি সঠিক না।
    কোন রকমের ঝামেলা ছাড়াই অনলাইনে উপার্জিত এই ডলার  বাংলাদেশী যে কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে (অনলাইন সাপোর্ট) ট্রান্সফার করা যাবে এবং ডলার আটোমেটিক টাকায় পরিনিত হবে। অনলাইনে আয়ের সব টপ সাইট থেকে সরাসরি আপনার নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারবেন। আবার কিছু কিছু সাইট রয়েছে যেখান থেকে টাকা তুলতে মাস্টারকার্ডের দরকার হতে পারে। তবে মাষ্টারকার্ড পাওয়া অতি সহজ। ইচ্ছে করলেই সম্পূর্ণ ফ্রীতেই আপনি পায়জা মাস্টারকার্ড পেতে পারেন।
    ♦ Payza একাউন্ট খুলুন এবংএর সাথে Bkash অ্যাকাউন্ট যোগ দেখুন টিউটোরিয়াল
    অনলাইনে আয় করার জন্য আপনাকে কোন প্রকার জামানত, ঘুষদেওয়া লাগবে না। এই কাজে শুধুমাত্র দক্ষতার প্রয়োজন। কাজ জানা থাকলে অবশ্যই কাজ পাবেন। যারা ফ্রীল্যান্সিং এর কথা বলে আপনার কাছ থেকে টাকা চায় তাদের থেকে দূরে থাকবেন।
    তবে কাজ জানা না থাকলে এখানে সফলতা পাওয়া যাবে না। এই জন্য প্রথমেই আপনাকে ভালভাবে কাজগুলো শিখতে হবে। কাজ শেখার জন্য আইটি বাড়ি(আব্দুল কাদের) থেকে বাংলা ভিডিও টিউটোরিয়াল ডিভিডি আকারে কিনতে পারেন।

    No comments:

    Post a Comment

    Fashion

    Beauty

    Travel