বর্তমানে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নিত্যপ্রয়োজনীয় একটি পণ্য, মোবাইল ফোন। যা সার্বক্ষণিক সঙ্গী হয়ে উঠেছে। তবে মোবাইল থেকে বেরনো ক্ষতিকর রশ্মি যার বিকিরণে আমাদের শরীর নানা উপায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই মুহুর্তেই আমরা তা বুঝতে না পারলেও এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে। যেহেতু যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মোবাইল ব্যবহার করতেই হবে তাই জেনে নিন, মোবাইলের ক্ষতিকর দিক , মোবাইলের অপকারিতা , মোবাইলের কুফল , মোবাইলে ক্ষতিকর এবং মোবাইল ব্যবহার করেও কীভাবে আপনি এর ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাব থেকে কিছুটা হলেও নিজেকে মুক্ত রাখতে পারবেন।
- অনেকেই বাসে বা ট্রেনে পকেটমার থেকে বাঁচতে মোবাইল বুক পকেটে রাখেন যা উচিত নয়। এর ক্ষতিকর বিকিরণ সরাসরি হার্টের ক্ষতি করে।
- মোবাইল চার্জে বসিয়ে কথা বলবেন না। খুব প্রয়োজন না পড়লে পুরো চার্জ হতে দিন। তারপর ফোন ব্যবহার করুন। আর না হলে চার্জ থেকে খুলে কথা বলুন।
- জনবহুল বদ্ধ জায়গায় মোবাইল ব্যবহার করবেন না। এতে আপনারও ক্ষতি, তেমনই অন্যেরও ক্ষতি হয়। কারণ টাওয়ার পেতে মোবাইল বেশি করে ক্ষতিকর রশ্মি বিকিরণ করে।
- দুর্বল সিগন্যাল এলাকায় মোবাইল ব্যবহার করবেন না। এতে মোবাইল আরও বেশি করে ক্ষতিকর রশ্মি বিকিরণ করে।
- যখন ফোনে কথা বলার জন্য ডায়াল করবেন তখন যতক্ষণ না অপরপ্রান্তে ফোন তুলছে ততক্ষণ কানে রেখে দেবেন না। সারাদিনে প্রতিবার এরকম অভ্যাস করলে কিছুটা হলেও বাঁচতে পারবেন।
- যদি বেশিক্ষণ মোবাইলে কথা বলতে হয় তাহলে হেডফোন ব্যবহার করে অথবা স্পিকার অন করে কথা বলুন।
- অনেক সময়ই স্মার্টফোনগুলো লো ব্যাটারি হয়ে যায়। এমন অবস্থা হলে যত পারবেন কম কথা বলবেন। লো ব্যাটারি ফোন বেশি ক্ষতিকর রশ্মি বিকিরণ করে।
- প্রয়োজনে কথা না বলে মেসেজ করুন। যদি কথা না বলে বার্তা পৌঁছনোই আসল উদ্দেশ্য হয় তাহলে কথা না বলে মেসেজ করুন।
- খুব দরকার না পড়লে রাতে ঘুমানোর সময় মোবাইল বন্ধ রাখুন। তা না করলে অন্তত মোবাইলকে বিছানায় স্থান দেবেন না।
- কথায় আছে – সস্তার তিন অবস্থা। সস্তা দামের ফোন বা চিনা মডেলে ভরসা রাখবেন না। এতে লাভের চেয়ে ক্ষতি হবে বেশি। দামি না হলেও নামী কোম্পানির ফোন ব্যবহার করুন।
No comments:
Post a Comment